top of page
WEBSITE.jpg

৩১-এ মে (31st May)

সন্ধ্যা ৫টা - ৮:৩০টা (5pm-8:30pm)

The Urban Theatre Project Kolkata

 

ভাষা সেন্টার আসছে কলকাতায় 

দুটি নতুন বাংলা নাটকের নাট্যরূপ পাঠ নিয়ে 

 

মন পবনের নাও
(Mon Pabaner Nao) 

for websote 1.jpg

মধ্যযুগের মনসা মঙ্গল কাব্যে, নাগদেবী মনসার অভিশাপে চাঁদ সদাগরের সাত পুত্রের মৃত্যু হয়। আর তার ছোট ছেলের বউ, বেহুলা — মৃত স্বামীর দেহ নিয়ে ভাসে পড়ে নদীতে। সে একরোখা, নিবেদিত, ভুলে যাওয়ার নয়।

কিন্তু বাকি ছ'জন বউ? যারা স্বামীর মৃত্যুর পরে চাঁদের বাড়িতে পড়ে রইল, তাদের কী হল?

এই নাটক তাদের সেই অনুল্লেখিত জীবনের কল্পিত যাত্রা। কেউ চায় পড়াশোনা, কেউ চায় ভালোবাসা, কেউ পালাতে চায়। একজন পড়তে চায়, একজন ব্যবসা করতে, আর দু’জন একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

মনসা বা তার সাপের দল তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় — বরং সংসারের পরিশ্রম, গোপন ইচ্ছা, আর সেই সব চাওয়া, যা মেয়ে আর যৌন প্রান্তিক মানুষের পক্ষে চাওয়া মানা - সেসব জিতে নিতে সমাজের লিঙ্গপুজো তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

জাদু আর বাস্তবের মিশেলে "মন পবনের নাও" এক বিকল্প মহাকাব্য — যেখানে শুধু এক অভিশপ্ত নৌকাই হয়তো তাদের বেয়ে নিয়ে যেতে পারে মুক্তির পথে।

In the medieval text of Manasa Mangal Kavya, Chand Sadagar loses his seven sons to the wrath of the snake goddess, and his youngest son’s wife, Behula, floats away with his corpse — defiant, devoted, and unforgettable. But what of the other six women?
 
This play imagines their journeys. Some seek knowledge, some love, some escape. One wants a school, another a shop, two dream of a home together. All are haunted. Not just by gods and snakes, but by labour, desire, and the weight of what women and queer people are never allowed to want.

Blending magic and the everyday, "Mon Paboner Nao" is a subversive epic - where only a cursed boat would carry you toward freedom.

জনকরাজার পালা 
(Janak Rajar Pala)

for websote 2.jpg

এক যুবক, লক্ষ্মণ, ওর খিদে পায় না, নিত্যিদিন খালিপেটে দরখাস্ত হাতে দূর জেলা অফিসে ছোটে। কিন্তু সেসব পড়ার সময় কই আপিসবাবুদের?

এক বৃদ্ধ, জনক, সেই কবে যাত্রাপালায় সীতার বাপ সাজত, এখন এক হাতে ভারতের পবিত্র সংবিধান, অন্য হাতে তাড়ির গেলাস। 

অন্যদেশ, যেখানে সরকারের কল্যাণকামী হাত পৌঁছয় না, পুরাণে মুক্তি নেই। ওরা ভেসে বেড়ায় দেবতা থেকে দপ্তরে, রাষ্ট্র থেকে রামায়ণে। তাড়ির ম ম গন্ধে শব্দ ভাসে, হাসে, ‘আমরা ভারতের জনগণ…’

 

One man, Lakshman, who does not feel hunger, walks daily to the District Collector's office with a petition that no one reads. Another, Janak, who once played Sita's father on the jatra stage, carries the Constitution like a holy book and drinks. And waits. 

 

In a landscape where epics no longer offer redemption and state forms no longer guarantee recognition, these two men drift between god and government, myth and machinery; they try to remember what it means to be a citizen.

 ABOUT THE PLAYWRIGHTS

TITAS 

Screenshot 2025-01-22 at 4.00_edited.jpg

Growing up in a refugee colony of North 24 Parganas, Titas has been into theatre since their childhood. In their words, 'Much of life made sense for me only on stage. The impossible seemed possible there.' After graduating in Zoology from the University of Calcutta, Titas set out to explore theatre with full devotion and on the way picked up a few formal degrees from FLAME University and London International School of Performing Arts. Although the first decade of their professional life was spent working as an actor in national and international performing arts companies, Titas began writing and devising theatres on their own since 2014. In 2019 they come back to their hometown Kolkata to found a female and queer centric collective - Samuho. 

Titas was an international fellow of Future Art Leaders program of The Australia Council for the Arts in 2022-2023 for her community-based arts practice.


Titas champions accessibility, inclusivity, and queer and female visibility in her artistic practice. Their dramatic writings keep the performer's body at its vantage point. Titas prefers to pen untold narratives or counter-narratives to the popular traditional texts. She is currently based in Kolkata working as an independent actor, writer-director, dramaturge and arts manager.

RITO DEEP

DSC05070_edited.jpg

Before the internet era, one would often encounter people distributing leaflets on the streets. Leaflets offering jobs, or tutorial classes – all kinds of things. I used to pick up as many as I could, even when I didn’t need them, in the hope that it would perhaps aid the efforts of the person in front of me in some small way. It was out of this habit that an ordinary looking letterpress-printed leaflet – black ink on newsprint – came my way. I glanced at it. It carried a long list of plays along with a schedule of their performances. The title read ‘Anganmancher Natak’ (Arena Theatre), and the name of the contact person was Badal Sircar. That was 25 years ago.


Third theatre took me in. And I chose to stay away from the pyramid of power – glad to have my bare feet firmly on the ground. I have become a slave to the addiction of creating strange designs in strange spaces, of travelling someplace in a group to perform for a call show. I can’t leave my home. How can I? This home of mine has no walls.


Often when I'd write a script - and I've written many - I'd invite friends over. I'd buy samosas, make tea, and then plunge into reading the entire script in one breath. As the final words of the play hung in the air, the room would fall into a profound silence. Curious for feedback, I'd ask, “Won’t you say something?” 

And then, someone would shatter the silence to ask the inevitable question, “Are there any samosas left?”

For more information on Third Bell, and what we did in 2024, read below.

‘ থার্ড বেল ’

ভাষা সেন্টারের thedramalibrary.com র প্রাথমিক লক্ষ্য অবশ্যই দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন নাট্যকারদের, বিভিন্ন ভাষায় লেখা অপ্রকাশিত নাটকের স্ক্রিপ্ট এক জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখা যাতে সবাই সেগুলি দেখতে পারে, পড়তে পারে। কিন্তু একটি দ্বিতীয়, সমান গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যও আছে আমাদের। নাটকের জগতে নতুন লেখা, নতুন লেখক নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেই কাজে সাহায্য করা। 
 

এই ভাবনার সূত্র ধরেই গতবছর আমরা Brecht@2023 কার্যক্রমটি করি। উদ্দেশ্য ছিল বারটোল্ট ব্রেখটের সাহিত্যের প্রতিক্রিয়া হিসাবে নতুন নাটক লেখার কাজ সমর্থন করা। ফলস্বরূপ আমাদের লাইব্রেরী পেয়ে যায় দুটি দুর্দান্ত নাটক: অভিমন্যু আচার্যের ‘সাহেব নো কোট’ (গুজরাটি ভাষায়) এবং ভি. বালাকৃষ্ণানের ‘আনকক্‌ড’ (ইংরেজি ভাষায়)। 

 

আমরা আবার ফিরে এসেছি আরেকটি নতুন রূপে। অত্যন্ত আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি, আমাদের নতুন উপস্থাপনা:  ‘থার্ড বেল - নতুন নাটক লেখার পালা ’। পর পর তিন বছর আমরা বাংলায় নতুন নাটক লেখা ও তা প্রচারের কাজ সমর্থন করব।

 

আশাকরি আপনারা আমাদের এই যাত্রায় যোগদান করবেন। এবং যারা আগ্রহী তাদের অবশ্যই এই সুযোগের খবর জানাবেন।

অংশগ্রহন করতে অনুগ্রহ করে এই আবেদন ফর্মটি ভরুনঃ আবেদন পত্র

আবেদনপত্র জমা দেবার শেষ তারিখঃ ১০ই অক্টোবর, ২০২৪

আরও বিস্তারে জানতে FAQ বিভাগটি পরুন অথবা meghna@bhashacentre.com কে লিখুন।

 

uuu_edited.png
  • 'থার্ড বেল’ কি?
    'থার্ড বেল’ thedramalibrary.com-এর একটি উদ্যোগ। বাংলা ভাষার নাট্যকারদের জন্য একটি বিশেষ মঞ্চ। আগামী তিন বছরে ‘থার্ড বেল’ বাংলা ভাষায় অন্তত ছয়টি নতুন, পূর্ণাঙ্গ নাটক কমিশন করবে। এ ছাড়াও, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে, থার্ড বেল নতুন নাট্যকারদের কাজের মান আরও উন্নত করতে সমর্থন করবে। এবং নাট্যকারদের জন্যে একটি সহানুভূতিশীল, সমন্বিত সাহসী, এবং বলিষ্ঠ সম্প্রদায়/গোষ্ঠী তৈরি করতে সাহায্য করবে।
  • কমিশন বলতে কি বোঝায়? কীভাবে হবে সেটা ?
    কমিশন মানে থার্ড বেলের অধীনে ভাষা সেন্টার একজন নাট্যকারকে একটি নাটক লেখার কাজে অর্থ সাহায্য দেবে। কিছু শর্ত মেনে নাট্যকার নির্দিষ্ট একটি পারিশ্রমিক পাবেন। এই বছর নির্বাচিত হবেন দুইজন নাট্যকার। তাদের দুইজনকেই একটি করে নতুন বাংলা নাটক লেখার জন্য ₹ ১,00,000/- পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।
  • আমি কিভাবে এই কমিশন পেতে পারি? যোগ্যতার মানদণ্ড কি?
    আবেদনকারীর বয়স ১ জানুয়ারী, ২০২৪ অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে নতুন কিংবা প্রতিষ্ঠিত লেখক, ছাত্র, ছাত্রী কিংবা পেশাদার নাট্যকার এই কমিশনের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। শুধুমাত্র দুটি শর্ত প্রযোজ্য: আবেদনকারীকে বাংলায় সাবলীল হতে হবে (লিখিত এবং কথ্য)। তাদের কাছে একটি গল্প থাকা দরকার যেটি তারা একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের নাটক হিসেবে লিখতে চান। এটি যেকোনো থিমের উপর ভিত্তি করে হতে পারে এবং যেকোনো বিষয়ে নিয়ে হতে পারে। তবে এটি মঞ্চায়িত হলে কমপক্ষে ৭০ মিনিটের দৈর্ঘ্যের হতে হবে।
  • অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া কি?
    আপনি যদি একজন নতুন নাট্যকার হন কিংবা হয়ত অনেক দিন ধরেই লিখছেন কিন্তু এবার একটা দারুন নতুন নাটকের গল্প আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, বহির্প্রকাশের পথ খুঁজছে, তাহলে থার্ড বেল আপনারই জন্য। আপনার আবেদনে আমাদের এইগুলি পাঠান: আপনার আগের বাংলা লেখার নমুনা। এটি কবিতা, ছোট গল্প, প্রবন্ধ, নাটক, কিংবা নাটকের কিছু দৃশ্যও হতেপারে। আপনার রেজুমে কিংবা কারিকুলাম ভিটে (সী. ভী.) এবং যে নাটকটি লিখতে চান তার সারাংশ সংক্ষেপে ৫০০ শব্দের মধ্যে কিংবা একটি ৪ (চার) মিনিটের ভিডিও করে - অবশ্যই বাংলায়। আমাদের এটাও জানান যে কেন নাটকটি লিখতে চান - আপনার কাছে এর গুরুত্ব কি। এবং কেন এটি এখনই লেখা আপনার জন্য জরুরি। এটাও ৫০০ শব্দে, কিংবা একটি ৪ (চার) মিনিটের ভিডিও করে আমাদের জানান।
  • নাট্যকার নির্বাচিত কি ভাবে হবে?
    প্রথম ধাপ: আমাদের বিচারকমন্ডলী সমস্ত আবেদনপত্র পড়ে নাট্যকারের অভিপ্রায় এবং নাটকটির সারাংশ বিচার করবেন। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পরে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে বাছাই করা প্রার্থীদের বিচারকমন্ডলীর সাথে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার এর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে আমাদের প্রাথমিক তালিকা যা ঘোষণা করা হবে ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪। দ্বিতীয় ধাপ: এই তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ৫ দিনের অনলাইন মাস্টারক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। এই ক্লাসগুলোতে নাটকের কাঠামো, সংলাপ, চরিত্রের বৃত্ত, আর্কিটাইপস, রাজনীতি এবং লেখার ভাষা অনুশীলন করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নাট্যকুশলীরা ক্লাসগুলির পরিচালনা করবেন - তাই ক্লাসগুলি ইংরেজি কিংবা বাংলা ভাষায় হতে পারে. তৃতীয় ধাপ: প্রার্থীদের প্রত্যেককে তাদের নাটকের একটি ১০-মিনিটের দৃশ্য বিস্তারিত ভাবে লিখতে হবে, এবং সাথে বাকি দৃশ্য গুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ জমা দিতে হবে। চতুর্থ ধাপ: বিচারকমন্ডলী জমা দেওয়া খসড়াগুলি পড়ে, বিচার করে, কমিশন পাওয়ার যোগ্য দুই জন নাট্যকারকে নির্বাচিত করবেন। এর ঘোষণা হবে ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫। পঞ্চম ধাপ: নির্বাচিত দুই নাট্যকারকে পূর্ণাঙ্গ নাটকের খসড়া লেখার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, তাদের একজন করে পরামর্শদাতার সাহায্য দেওয়া হবে আমাদের তরফ থেকে। তাদের সাথে ২টি মিটিং এর ব্যবস্থা করা হবে যাতে আলোচনার মাধ্যমে নাটক লেখার সমস্যাগুলির যথাযুক্ত সমাধান পাওয়া যায়। ষষ্ঠ ধাপ: খসড়াটি এবার কিছু অভিনেতাদের দেওয়া হবে যারা অনলাইন সেটি পড়ে শোনাবেন। এইসময় নাট্যকার ছাড়া সাথে থাকবেন শুধু তাদের পরামর্শদাতা। এই পড়ার মধ্যে দিয়ে নাটকটি কিভাবে আরও বলিষ্ঠ করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সপ্তম ধাপ: এবার নাট্যকারকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে নতুন খসড়া জমা দেওয়ার জন্য। জমা দেবার পর এই নাটকটি TDL-এ আপলোড করা হবে ১৪ই এপ্রিল ২০২৫ , এবং অভিনেতারা মে মাসে কলকাতায় আমন্ত্রিত কিছু দর্শকদের উপস্থিতিতে এটির একটি সংক্ষিপ্ত রিহার্সাল প্রদর্শনি করবেন।
  • লেখাটির কপিরাইটের মালিক কে হবে?
    আপনার লেখা নাটকটির সমস্ত নৈতিক ও আইনগত অধিকার আপনারই থাকবে। আমরা শুধু সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্টটি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর থেকে অন্তত এক বছরের জন্য ভাষা সেন্টারের অনলাইন লাইব্রেরি TDL-এ রাখবো যাতে অনেকে সেটি দেখতে ও পড়তে পারে।
  • আরও প্রশ্ন আছে?
    লিখুন মেঘনা কে এই ইমেইল এ meghna@bhashacentre.com

© 2023 by Bhasha Centre

  • Instagram
  • Facebook - Black Circle
bottom of page